সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যাটেরিয়ালস্ এর পরিচিতি


সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যাটেরিয়ালস্ এর পরিচিতি (Goutom24)
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যাটেরিয়ালস্ এর পরিচিতি (Goutom24)


তাত্ত্বিক
অধ্যায়-১
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যাটেরিয়ালস্ এর পরিচিতি
(Aspects of civil engineering meterials)
১.১ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যাটেরিয়ালস্ এর সংজ্ঞা (Definition of civil engineering materials) ৪
প্রকৌশল নির্মাণে বিভিন্ন ধরনের গুণ, মান ও শক্তিসম্পন্ন সামগ্রী ব্যবহৃত হয়। প্রকৌশলীগণ নির্মাণের জন্য স্বল্পব্যয়, নিরাপদ,
নিরাপত্তা, সৌন্দর্য ও স্থায়িত্বের দিক বিবেচনা করে থাকেন। প্রকৌশল নির্মাণে (Engineering construction) ব্যবহৃত সামগ্রীকে
প্রকৌশল সামগ্রী (Engineering materials) বা নির্মাণসামগ্রী (Materials of construction) বলা হয়।
ইমারত, ব্রিজ, বিমানবন্দর, রাস্তাঘাট, পােতাশ্রয় ইত্যাদি পূর্তকর্ম অর্থাৎ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর আওতাভুক্ত নির্মাণের (Civil
engineering construction) সামগ্রীকে পূর্তকর্ম নির্মাণের সামগ্রী বা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যাটেরিয়ালস (Civil engineering
materials) বলা হয়। যেহেতু অনেক ক্ষেত্রে একই সামগ্রী ভিন্ন ভিন্ন প্রকৌশল নির্মাণে (Engineering construction) ব্যবহৃত হয়,
তাই কোন নির্মাণসামগ্রীকে একক কোন প্রকৌশল বা প্রযুক্তির নির্মাণসামগ্রী হিসাবে সুনির্দিষ্ট করে সীমারেখা টেনে দেয়া সম্ভব নয়।
তবে সাধারণভাবে কোন প্রযুক্তির আওতাভুক্ত নির্মাণে বহুল ব্যবহৃত সামগ্রীকে ঐ প্রকৌশল বা প্রযুক্তির নির্মাণসামগ্রী বলা হয়ে
থাকে।
নির্মাণসামগ্রীর যথাযথ নির্বাচনের উপরই নির্মাণের উৎকর্ষতা নির্ভর করে। তাই এগুলাে নির্বাচনের ক্ষেত্রে এগুলাের মৌলিক
স্বভাবের উপর প্রকৌশলীর সম্যক জ্ঞান থাকা আবশ্যক। যে কোন প্রকৌশল নির্মাণে প্রকৌশল সামগ্রীর শক্তি, স্থায়িত্ব, উপযযাগিতা,
সহজলভ্যতা, সৌন্দর্য, ব্যবহার ও সংযােগ সরলতা ইত্যাদি দিকগুলাে বিবেচনায় আনতে হয়। যে কোন নির্মাণসামগ্রীর গুণগত মান
ও বৈশিষ্ট্যের উপরই নির্মাণের মান, স্থায়িত্ব, সৌন্দর্য, নিরাপত্তা ইত্যাদি নির্ভর করে। আবহাওয়া, পরিবেশ, পরিস্থিতি ইত্যাদির
ভিন্নতায় একই ধরনের নির্মাণে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের সামগ্রী নির্বাচন করতে হতে পারে। 
প্রযুক্তির অবদানে ভূপৃষ্ঠে গড়ে উঠছে সুরম্য অট্টালিকা, মনােহরি বহুতলের ইমারত, দালানকোঠা, রাস্তাঘাট, বন্দর, পােতাশ্রয়,
বিমানবন্দর ইত্যাদি। স্বল্প সময়ে নিরাপদ ভ্রমণের জন্য তৈরি করা হয় যন্ত্রযান। মানুষের জীবনের সার্বিক চাহিদা পূরণে বিভিন্ন
। লবঙ্গের ভ্যতক খেও উর্বর ভমি কোথাও পাহাড়-




পথে
সম্যক জ্ঞান থাকা আবশ্যক। যে কোন প্রকৌশল নির্মাণে প্রকৌশল সামগ্রীর শক্তি, স্থায়িত্ব,
সহজলভ্যতা, সৌন্দর্য, ব্যবহার ও সংযােগ সরলতা ইত্যাদি দিকগুলাে বিবেচনায় আনতে হয়। যে কোন নির্মাণসামগ্রীর গুণগত মান
ও বৈশিষ্ট্যের উপরই নির্মাণের মান, স্থায়িত্ব, সৌন্দর্য, নিরাপত্তা ইত্যাদি নির্ভর করে। আবহাওয়া, পরিবেশ, পরিস্থিতি ইত্যাদির
ভিন্নতায় একই ধরনের নির্মাণে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের সামগ্রী নির্বাচন করতে হতে পারে।
প্রযুক্তির অবদানে ভূপৃষ্ঠে গড়ে উঠছে সুরম্য অট্টালিকা, মনােহরি বহুতলের ইমারত, দালানকোঠা, রাস্তাঘাট, বন্দর, পােতাশ্রয়,
বিমানবন্দর ইত্যাদি। স্বল্প সময়ে নিরাপদ ভ্রমণের জন্য তৈরি করা হয় যন্ত্রযান। মানুষের জীবনের সার্বিক চাহিদা পূরণে বিভিন্ন
সামগ্রী উৎপাদনে এ ভূপৃষ্ঠেই স্থাপিত হচ্ছে নানা ধরনের শিল্পকারখানা। আর এ ভূপৃষ্ঠের ভূত্বক কোথাও উর্বর ভূমি, কোথাও পাহাড়-
পর্বত, কোথাও বালি, কোথাও শিলা, কোথাও ধাতুর খনিজ আস্তরণ, কোথাও বিভিন্ন উপাদানের জটিল মিশ্রণে গড়া। বিভিন্ন
প্রকৌশল নির্মাণে (Engineering construction) ভিন্ন ভিন্ন ধরনের বিপুল পরিমাণ নির্মাণসামগ্রীর চাহিদা পূরণে ভূপৃষ্ঠের সুবিশাল
এলাকার বিভিন্ন উপাদান সরাসরি বা কৃত্রিম উপায়ে প্রকৌশল নির্মাণের উপযােগী সামগ্রীতে রূপান্তর করে ব্যবহার করা হয়। তাই
ভূত্বককে নির্মাণসামগ্রীর আধার বা ভাণ্ডার (Container) বলা হয়।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারগণ তথা সকল প্রযুক্তির প্রকৌশলীগণ তাদের নির্মিত কাঠামাের স্থায়িত্ব, নিরাপত্তা, সাশ্রয়, সৌন্দর্য ইত্যাদি
বিষয়ে সচেতন থাকেন এবং নির্মাণসামগ্রীর বৈশিষ্ট্য ও ধর্মাবলি সম্পর্কে পূর্বাহ্নে জেনে নেন। নিচে এগুলাের বৈশিষ্ট্য ও ধর্মাবলি
সম্পর্কে সংক্ষেপে উদ্ধৃত করা হল ঃ
ভৌত ধর্মাবলি ও আকার, আকৃতি, ঘনত্ব, সচ্ছিদ্রতা, বুনট (দৃঢ়াবদ্ধ, স্বাভাবিক, শিথিল), বর্ণ, গন্ধ, সৌন্দর্য ইত্যাদি।
(খ) যান্ত্রিক ধর্মাবলি ও শক্তি, স্থিতিস্থাপকতা, নমনীয়তা, অনমনীয়তা, প্রাচুর্যতা, ভঙ্গুরতা, স্থিতিস্থাপন ক্ষমতা, ঘাতসহতা,
কাঠিন্য, মন্থর বিকৃতি ইত্যাদি।
(গ) রাসায়নিক ধর্মাবলি ও ক্ষয়রােধিতা, অম্লত্ব, ক্ষারত্ব, রাসায়নিক গঠন ইত্যাদি।
(ঘ) বৈদ্যুতিক ধর্মাবলি ও তড়িৎ সঞ্চারণ শক্তি, তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা, তড়িৎ প্রতিরােধ ক্ষমতা, ইত্যাদি।
(ঙ) তাপীয় ধর্মাবলিঃ আপেক্ষিক তাপ, তাপীয় প্রসারণ, তাপ পরিবাহিতা ইত্যাদি।
(চ) চুম্বকীয় ধর্মাবলিঃ চুম্বকীয় ভেদ্যতা, চুম্বকীয় আবেশ, হিস্টিরিসিস ইত্যাদি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন